ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের করো’নার টিকা আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বাজারে আসবে। আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ।



বুধবার (১২ আগস্ট) তিনি বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বর মাস নাগাদ ভ্যাকসিন বাজারজাত করতে পারবো বলে আশা করছি।’



গত ২ জুলাই প্রতিষ্ঠানটি দেশে প্রথম ভ্যাকসিন আবি’ষ্কারের ঘোষণা দেয়। সেদিন তারা জানায়, গত ৮ মা’র্চ তারা এই টিকা আবি’ষ্কারের কাজ শুরু করেন এবং সবপর্যায়ের কাজ শেষ করতে পারলে আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে এই টিকা বাজারজাত করা যাব’ে।



গ্লোবের ঘোষণা দেওয়া করো’নার ভ্যাকসিনের কী’ অবস্থা, কাজ কতদূর এগিয়েছে সে সর্ম্পকে জানতেই কথা হয় ডা. আসিফ মাহমুদের স’ঙ্গে। তিনি জানান, তারা এখনও অ্যানিমেল ট্রায়ালে রয়েছেন, সেটা



এখনও শেষ হয়নি। অ্যানিমেল ট্রায়াল শেষ করে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হিউম্যান ট্রায়ালের (মানুষের মধ্যে প্রয়োগ) জন্য আবেদন করবেন। হিউম্যান ট্রায়ালের তিন ধাপ শেষ করে ডিসেম্বর নাগাদ বাজারে আসবে ভ্যাকসিন।



শুরু থেকে ভ্যাকসিন প্রক্রিয়ার পরিক্রমায় কোনও ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে ডা. আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমা’দের জিওগ্রাফিক লোকেশনে রি-এজেন্ট প্রক্রিউরমেন্ট একটা সমস্যা, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সও একটা সমস্যা। এই সমস্যাগু’লো আগেও ছিল, এখনও আছে। কার্গো ফ্লাইটগু’লো নিয়মিত আসছে না। অ্যানিমেল ট্রায়ালের জন্য যে জিনিসগু’লোর প্রয়োজন সেগু’লোর কিছু কিছু জিনিস এখনও পুরোপুরি এসে পৌঁছায়নি।



অ্যানিমেল ট্রায়ালের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার পর কিছু অ্যানালাইসিস রয়েছে, যার কিছু রি-এজেন্ট দরকার হয়। সব জিনিস এখনও হাতে না এলেও চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ডা. আসিফ। তিনি আশা করছেন খুব দ্রুতই সেগু’লো চলে আসবে।



এ দিকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অ্যানিমেল ট্রায়ালের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। আন-অফিসিয়ালি আম’রা অবশ্য কথা বলে নিয়েছি। তাদের কাছ থেকে কোনও অ্যাপ্রুভালের প্রয়োজন এখন নেই। অ্যানিমেল ট্রায়ালের তথ্য উপাত্ত নিয়ে বিএমআরসি এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদন নেওয়া হবে।’