Home / সারাদেশ / সৈকতে ধর্ষণের পর ইয়াবা সেবন করেই হিংস্র হয়ে ওঠে সেই তিনজন

সৈকতে ধর্ষণের পর ইয়াবা সেবন করেই হিংস্র হয়ে ওঠে সেই তিনজন

সামান্য একটি ধাক্কা। তাও অসাবধানতাবশত। কিন্তু এ ধাক্কার মাশুল দিতে হলো গৃহবধূর সম্ভ্রম দিয়ে। ফিল্মি স্টাইলে গৃহবধূর স্বামী-সন্তানকে তুলে নিয়ে গেল অন্যত্র। আর গৃহবধূকে আরেক জায়গায় নিয়ে তিনজন মিলে করল ধর্ষণ। এখানেই ক্ষান্ত হয়নি, হোটেলে নিয়ে ইয়াবা সেবনের পর আরো হিংস্র হয়ে ওঠে সেই তিনজন। ধর্ষণ করা হয় ফের।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের এ ঘটনাটি এরই মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। এরই মধ্যে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে হোটেলের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে দুজনকে শনাক্ত করেছে র‍্যাব।

শনাক্ত হওয়া যুবকরা হলেন- কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আশিকুল ইসলাম ও আব্দুল জব্বার জয়া। তবে আরেকজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। র‍্যাব জানায়, চার মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন আশিক। তিনি ছিনতাই, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি।

বুধবার রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন থেকে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান।

ভুক্তভোগী নারী জানান, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে আসেন তিনি। তারা শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে যান। লাবনী পয়েন্টে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এতে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়।

এরই জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।

এরপর তাকে জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে নেয়া হয়। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে কক্ষ বাইর থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।

ওই নারী আরো জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তা কক্ষের দরজা খোলেন তিনি। এরপর ৯৯৯-এ ফোন দেন। তাকে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। এরপর পাশের একজনের সহযোগিতায় র‌্যাবকে কল দেন। তারা এসে তাকে উদ্ধার করে। পর্যটন গলফ মাঠের এলাকা থেকে তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।

ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, সামান্য ধাক্কা লাগার কারণে তারা আমার এত বড় ক্ষতি করল। অপরিচিত বলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গেলেও সে জায়গা ও দুর্বৃত্তদের চিনতে পারিনি।

তিনি আরো বলেন, বারবার হাতে-পায়ে ধরলেও তারা আমার স্ত্রীকে ফেরত দেয়নি। বেড়াতে এসেছিলাম বেতন পাওয়ার খুশিতে। এখন স্ত্রীর অবস্থা ভালো নয়; তাকে নিয়ে চিন্তায় আছি।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করি। তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত তিনজনের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের কঠোর শাস্তি পেতে হবে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে।

Check Also

একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন তাসলিমা

চট্টগ্রামের নাজিরহাটে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। সন্তানদের মধ্যে চারজন ছেলে ও দুইজন …