সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। তবে বর্তমানে অনেকর মুখেই শোনা যায় যে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না। অর্থাৎ তারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকার পরও রাতে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না। মূলত আমাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।
কারণ ঘুম যদি কম হয়, তবে ঘনিয়ে আসতে পারে মারাত্মক কিছু বিপদ। ঘুম যদি সাত থেকে আট ঘণ্টার কম হয়, তাহলে দেখা দিতে পারে শারীরিক ও মানসিক নানাবিধ জটিল সমস্যা। যা দীর্ঘস্থায়ী হলে মানুষের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়তে পারে।
একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ঘুম কম হলে মানুষ হন স্বল্পায়ু। তবে তার পাশাপাশি আরো কিছু সমস্যা হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো কী কী-
>> যৌনমিলনের আকাঙ্খাও কমিয়ে দিতে পারে অনিদ্রা। পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমে যেতে পারে এই অবস্থায়।
>> কম ঘুমিয়ে রাস্তায় বেরোলে দুর্ঘটনা ঘটবার আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষ করে আপনি যদি রাত্রে ভালোভাবে না ঘুমিয়ে সকালে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেন।
>> সর্দি, জ্বর, ঠাণ্ডা লাগার ভাইরাসের বিপক্ষে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায় যদি ঘুমের প্রবল ঘাটতি দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে শরীর খুব তাড়াতাড়ি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
>> ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে কম ঘুমের সমস্যার জেরে ঘটতে পারে মনোসংযোগের অভাব। পড়া মনে রাখতে সমস্যা হতে পারে। স্মৃতিশক্তির সঙ্গে ঘুম কম হওয়ার সম্পর্কও অত্যন্ত গভীর।
>>অনিদ্রার ফলে ওজন হঠাৎ বেশি বেড়ে যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ তথা টাইপ টু ডায়াবেটিসের আশঙ্কাও বেড়ে যায় ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে। চিকিৎসকদের মতে অপর্যাপ্ত ঘুম ডেকে আনতে পারে হৃদযন্ত্রের গোলযোগও।