সবকিছু দেখেশুনে দুই পরিবারের সম্মতিতেই হয়েছিল বিয়ে। অনুষ্ঠানও হয়েছিল বেশ ধুমধামের সঙ্গে। কিন্তু বাসর রাত পার করে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই স্বামীর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেলেন নববধূ।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ভারতের পশ্চীমবঙ্গের হাওড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, বিয়ের পরদিন ভোরে বর আদর্শ সাউ (২৪)-এর নিথর দেহ দেখতে পান তার স্ত্রী বর্ষা কুমারী। তদন্তকারীদের কাছে বর্ষা জানিয়েছেন, ফুলশয্যার পরের দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে আদর্শের কথা মতো বাথরুমে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন, আদর্শের দেহ ঝুলছে তাদের ঘরে। বাসরঘরে তাদের বিছানার উপর ফুলের সাজের সঙ্গে দড়ি বেঁধে তাতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আদর্শ। খবর পেয়ে আদর্শকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেজায় ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল দু’জনের। ব্যারাকপুরে বাসিন্দা বর্ষার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, দেখাশোনা করে দু’জনের বিয়ে স্থির করেছিলেন অভিভাবকেরা। পেশায় গা়ড়িচালক আদর্শেরও এই বিয়েতে সম্মতি ছিল বলে দাবি তাদের। বর্ষা বলেন, ‘বিয়ের আগে আমাদের মধ্যে ফোনে কথাবার্তা হত। তবে সে সময় কিছু অস্বাভাবিক বিষয় টের পাইনি। আজ ভোরে ফ্রেশ হওয়ার জন্য বলেছিলেন আদর্শ। সে জন্য বাথরুমে গিয়েছিলাম। আমি বাথরুমে যেতেই এ ঘটনা ঘটে।’
ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল দুই পরিবারের সদস্যরা। কেন এমন ঘটনা— কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য আদর্শের দেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দম্পতির কারও অন্য প্রেমঘটিত সম্পর্কের জেরেই এ ঘটনা কি না, সে প্রশ্নও উঠছে।
সূত্র: আনন্দবাজার