Home / সারাদেশ / ফাঁস দেওয়ার আগে দায়ীদের নাম চিরকুটে লিখে গেলেন কলেজছাত্র

ফাঁস দেওয়ার আগে দায়ীদের নাম চিরকুটে লিখে গেলেন কলেজছাত্র

নিজের মৃত্যুর জন্য চারজনকে দায়ী করে তাদের নাম চিরকুটে লিখে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মারুফ হোসেন আকাশ নামে এক কলেজছাত্র। মারুফ রাজশাহীর কাটাখালী থানার কুখণ্ডি এলাকার আবু তালুকদারের ছেলে।

তিনি জেলার পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর কলেজের অনার্স সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে ঘরের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর সন্ধ্যায় ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা বৃহস্পতিবার রাতে বা শুক্রবার ভোরের দিকে কোনো এক সময় এ আত্মহননের ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে তার ঘরে যায় এবং দরজার ফাঁক দিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে আসে।

আত্মহত্যার আগে লেখা ওই চিরকুটে তিনি রবিন, হৃদয়, সজল ও জুয়েল নামে চারজনের নাম লিখে গেছেন। আর তাদের নামের নিচে লিখে গেছেন- ‘আমার মৃত্যুর জন্য এরা দায়ী’।

মারুফ ওই চিরকুটে আরো লিখে গেছেন, ‘মা আমাকে মাফ করে দিস। মুন্নি আমি তোকে অনেক ভালোবাসি। ভালো থাকিস তুই সুখে থাকিস।
রাজশাহীর কাটাখালী থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি এ চিরকুট পাওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন।

ওসি বলেন, পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে চার যুবক মারুফের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে তাদের কাছে ওই মোবাইল ফেরত চাইতে গেলে না দিয়ে উল্টো তাকে ধরে পেটায় ওরা। বাইরে থেকে বিমর্ষ অবস্থায় বাড়ি ফিরে মারুফ তার ঘরে ঢুকে যান। এরপর কোনো এক সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

শুক্রবার সকালে অনেকক্ষণ তারা কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বেলা ১১টার দিকে মারুফকে ডাকতে যান। এ সময় দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ওই বাড়িতে মারুফের বাবা-মা ও এক ভাইও বসবাস করেন।

সিদ্দিকুর রহমান জানান, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া আপাতত এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে অন্য কোনো কিছু বেরিয়ে এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Check Also

একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন তাসলিমা

চট্টগ্রামের নাজিরহাটে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। সন্তানদের মধ্যে চারজন ছেলে ও দুইজন …