Home / সারাদেশ / নানার মাথায় হিংস্রাত্মক আঘাত করে ঘরেই পুঁতে রাখেন আদরের নাতি

নানার মাথায় হিংস্রাত্মক আঘাত করে ঘরেই পুঁতে রাখেন আদরের নাতি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় নানা আব্দুর রশিদকে হত্যার পর ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখেন ১৯ বছরের নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু। গ্রেফতারের পর এমনই তথ্য জানিয়েছেন তিনি। শনিবার বিকেলে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ড. মো. রাশেদ হোসাইনের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন বাবু। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন বিচারক। বাবু নিহত আব্দুর রশিদের দ্বিতীয় মেয়ে বিনা আক্তার ও একই এলাকার জিয়াউর রহমানের ছেলে।

নিহত আব্দুর রশিদ পৌর শহরের নন্দীবাড়ি মাঝিপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কাঠের ব্যবসা করতেন। হত্যার চারদিন পর নিজ ঘরের মেঝে খুঁড়ে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

মুক্তাগাছা থানার ওসি (তদন্ত) চাঁদ মিয়া বলেন, প্রায়ই রাতে নানা আব্দুর রশিদের সঙ্গে ঘুমাতেন নাতি বাবু। তিনি কোনো কাজ করতেন না। বন্ধুদের সঙ্গে সারাদিন আড্ডা দিতেন। ঘটনার রাতে আব্দুর রশিদের কাছে টাকা দাবি করেন বাবু। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে বাবুকে লাঠি দিয়ে একটি আঘাত করেন আব্দুর রশিদ। এ ক্ষোভেই ঘুমের মধ্যে নানা আব্দুর রশিদের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন নাতি। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রশিদ নিহত হন। পরে ঘরের মেঝেতে মাটি খুঁড়ে মরদেহ চাপা দিয়ে পালিয়ে যান বাবু।

চাঁদ মিয়া আরো বলেন, ঘটনার চারদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তাগাছা শহরের ইশ্বরগ্রামের মাঝিপাড়া এলাকার তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘরের মেঝে খুঁড়ে আব্দুর রশিদের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই রাতেই নাতি মঞ্জুরুল ইসলাম বাবুকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় মেয়ে। পরে শনিবার বাবুকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

Check Also

একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন তাসলিমা

চট্টগ্রামের নাজিরহাটে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। সন্তানদের মধ্যে চারজন ছেলে ও দুইজন …