প্রতিযোগীতাময় এই জীবনে টিকে থাকার জন্য একান্তই যেটি দরকার সেটি হল শারীরিক সুস্থতা। যে শারীরিক দিক থেকে যতটা সুস্থ সে এই প্লাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সফল। তবে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য কী করবেন? হ্যাঁ আপনার বাড়িতেই আছে সেই ভালো থাকার মন্ত্র। আপনার আসে পাশেই রয়েছে সে জিনিস।
আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের মধ্যেই রয়েছে তা। জানেন কী কী সেই জিনিষ? না আর কোনো পর্দা নয়, সেই জিনিষটি হল রসুন। হ্যাঁ আপনার ঘরে সব্জীর ডালিতে রাখা এক কুচি রসুনই পারে আপনাকে অনেক রোগ থেকে সুস্থ করে দিতে। এই গতিময় জীবনে রসুনের থেকে বেশি উপকারী আর কিছুই নেই। এরকম টা দাবি .বিজ্ঞানীদের।
রসুন যে শুধুমাত্র আপনার শারীরিক ক্ষমতা ফিরিয়ে আনে তা ই নয়। এটি বৃদ্ধি করে আপনার যৌ’ন ক্ষমতাও। বর্তমান যুগে অনিয়মিত জীবনযাত্রা, ব্যাস্ততা ও কাজের চাপের কারনে দৈহিক অক্ষমতার পরিমানও বেড়েই চলেছে।
এই দৈহিক অক্ষমতা হল শুক্র স্বল্পতা। অর্থাত্ প্রচন্ড কাজের চাপ ব্যাস্ততার মাঝে কেউই সেরকম নিজের শরীরের যচ্ন নিতে পারেননা। তাই শরীরে শুক্রা’নুর সংখ্যা কমে যায় অনেক সময়।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে প্রতি মিলিগ্রাম স্পার্মে ২০ মিলিয়ন শুক্রানুর উপস্থিতি না থাকে তাহলে সেই স্পার্মটি অনুর্বর়। ষ্পার্ম অনুর্বরের ফলে সেই পুরুষটিও হয়ে পরে অনুত্পাদনশীল। কিন্তু মাত্র এক কুচি রসুন বাঁচাতে পারে আপনাকে। তবে এই রসুন খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। দেখে নিন সেগুলি।
১। সকালে উঠে খালি পেটে এক কোয়া বা ২ কোয়া রসুন খাওয়া খুবই উপকারী।
২। এটি আপনার যৌ’ন ইচ্ছে বাড়াতেও উপযোগী। শুধু প্রতিদিন খান এক কোষ বা ২ কোষ রসুন।
৩। যারা পড়ন্ত যৌবনে আছেন তাতের কয়েক কোয়া রসুন গাওয়া ঘি য়ে ভেজে খেলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। তবে খাওয়ার পর একটু গরম দুধ বা গরম জল খেলে তা আরও ভালো কাজ দেয়। এটি বয়স্ক দের কোঁচকানো চামরা টান টান করতে কাজে লাগে।
সাবধানতা= তবে সাবধান শুধু রসুন খেলেই চলবে না হতে হবে সাবধান। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন।