অন্তরজ্বালা সিনেমার শুটিংয়ের কথা বলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে হিন্দু পরিবারের বাড়ি ও ক্লিনিক জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ অভিযোগ জানান পিরোজপুরের সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ গীতা রানী মজুমদার। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, ‘অন্তর জ্বালা’ সিনেমার শুটিংয়ের কথা বলে পিরোজপুর সদরে হিন্দুদের জমি ও ক্লিনিক দখল করেন জায়েদ খান। এর সঙ্গে জড়িত আছেন জায়েদ খানের ভাই ওবায়দুল হক পিন্টু ও শহীদুল হক মিন্টু। ক্লিনিকটি ৪০ শয্যার বলে জানা গেছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগকারীরা জানান, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ রাত ২টার সময় ৫ তলা ভবনের ৫ম তলায় জায়েদ খান ও তার সাথের কিছু অস্ত্রধারী লোক গীতা রানী ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা জোর করে টাকা পয়সা ও ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্স লুট করে নিয়ে যান। এসব লুট করার আগে জায়েদ খান গীতা রানীদের মারধর করেন এবং তার স্বামীকে পিটিয়ে ঝিনাইদাহ জেলার রেললাইনের ওপর ফেলে রেখে চলে যান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে ২০১৬ সালের মার্চের ২৬ তারিখেই তিনি একটি এজাহার দায়ের করেছিলেন। এরপর থেকেই জায়েদ তিনি ও তার পরিবারকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। এছাড়া ওই পাঁচতলা বাড়িটির বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। বর্তমানে তারা সে বাড়িতে থাকতে পারছেন না।
২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হলে মহামান্য হাইকোর্ট আমাদের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। বর্তমানে আমরা ঢাকায় অবস্থান করছি তবে আমাদের পিরোজপুরের বাসার সব মালামাল জায়েদ খান ও তার লোকেরা লুট করে নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে গত ৬ জুন, ২০১৮ সালে দায়ের করা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। তার মামলা নং ০৯, ১৮৫/১৮।
আমরা ভুক্তভোগী পরিবার ভূমিদস্যু জায়েদ খান ও তার গংদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।