নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চলন্ত বাসে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাসটির চালক ও হেলপারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন- কিশোরগঞ্জের মিঠামাইনের নূরুল হক, রূপগঞ্জের চনপাড়ার বুলেট ও বরগুনার শান্ত মিয়া। তদের মধ্যে নুরুল হক ছিলেন বাসটির চালক, বুলেট ছিলেন হেলপার ও কন্টাক্টর ছিলেন শান্ত।
জানা গেছে, রোববার রাতে সাড়ে ১০ টার দিকে যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসে ওই তরুণী রূপগঞ্জের গাউছিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। বাসটি চিটাগাং রোডে আসতেই সকল যাত্রী নেমে যায়। এ সুযোগে চলন্ত বাসের মধ্যে ওই তরুণীকে চালক, হেলপার ও কন্ট্রাকটার মিলে ধর্ষণ করে। চিটাগাং রোডের পর থেকে ঘটনা ঘটলেও বন্দরের মদনপুরে এসে ওই তরুণীকে বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে ৯৯৯ ফোন করলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই চালক ও দুই হেলপারের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী।
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মহসিন জানান, চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনা ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে চালক হেলপারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে দেশের গণপরিবহনে নারীরা নানাভাবে যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। গত কয়েক বছরে মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় প্রায় একই কায়দায় বেশ কয়েকজন নারী ধর্ষণ ও ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন। কিন্তু পাবলিক বাসে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সারা দেশে অনেক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হলেও নারী ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। কিছুদিন পরপরই দেশের নানা স্থানে চলন্ত বাসে নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে।