পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর গো’পনা’ঙ্গে ফুটন্ত পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। ৩২ বছর বয়সি আহত স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতের তামিলনাড়ুর পুদুপাট্টুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তির নাম থঙ্গরাজ। তিনি একটি মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার কারখানায় সুপারভাইজার পদে কাজ করেন।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, বছর সাতেক আগে স্ত্রী প্রিয়ার সঙ্গে বিবাহ হয় তার। দুই জনের দুই কন্যাও রয়েছে। অফিসে এক নারী কর্মীর সঙ্গে থঙ্গরাজের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করেন প্রিয়া। সম্প্রতি এ নিয়ে প্রবল ঝগড়া বাধে দম্পতির। ঝগড়ার পর থঙ্গরাজ ঘুমাতে চলে যান। কিন্তু কোনোভাবেই শান্ত হতে পারেননি স্ত্রী প্রিয়া। রাগের বশে ঘুমন্ত স্বামীর গো’প’না’ঙ্গে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দেন তিনি।
যন্ত্রণায় আর্তনাদ করে ওঠেন থঙ্গরাজ। তার চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তড়িঘড়ি তাকে ওয়ালাজপেত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ করা হয় কাবেরীপক্কম থানায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে থঙ্গরাজের বিশেষ অ’ঙ্গ।
স্ত্রীকে ‘মোটা’ বলায় বিব্রত রণবীর, চাইলেন ক্ষমা
পাঁচ বছর সম্পর্কের পর বিয়ে করেছেন বলিউড তারকা রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। বিয়ের পর কাঙ্ক্ষিত সুখবরও দিয়েছেন, সন্তানের বাবা-মা হতে যাচ্ছেন তারা। এছাড়া আগামী মাসেই মুক্তি পাচ্ছে এ জুটির প্রথম সিনেমা ‘ব্রহ্মাস্ত্র’।
এর মধ্যে লাইভ অনুষ্ঠানে স্ত্রী আলিয়া ভাটের শারীরিক গড়ন নিয়ে কটাক্ষ করায় ক্ষমা চাইলেন এই অভিনেতা। এর আগে, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি ভিডিও আড্ডায় যোগ দেন রণবীর-আলিয়া। সেখানেই কথার ফাঁকে অন্তঃসত্ত্বা আলিয়াকে ‘মোটা’ ইঙ্গিত করে একটি মন্তব্য করে ফেলেন রণবীর, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, আলিয়াকে মোটা বলা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে, সে প্রসঙ্গে কিছু বলতে চান কিনা? জবাবে রণবীর বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই! প্রথমেই এটা বলে দেই যে, আমি আমার বউকে ভালোবাসি, জীবনের সবটুকু দিয়ে। আর যেটা হয়েছে, আমি মজা করেই বলেছিলাম। যদিও তাতে কারও হাসি পায়নি। আমি সত্যি ক্ষমা চাইতে চাই, যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকে। কারণ সেটা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।
রণবীর আরো বলেন, আমি আলিয়ার সঙ্গেও এটা নিয়ে কথা বলেছি। ও তো আমার কথা হেসে উড়িয়ে দিয়েছে। এটা ঠিক আমার সেন্স অব হিউমার খুব খারাপ। আর মাঝে মাঝে তা সপাটে আমার মুখের উপরেই এসে পড়ে। তাই যদি আমার কথায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকে তাকে আমি সরি বলতে চাই।
বিয়ে দিতে চাওয়ায় কিশোরীর বিষপান
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে জোর করে বিয়ে দিতে চাওয়ায় মা-বাবার ওপর অভিমান করে জান্নাতুল ফেরদাউস নামে এক কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের চরএলাহী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত জান্নাতুল ফেরদাউস উপজেলার একই এলাকার আহছান উল্যাহ মাসুদের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে জান্নাতুলকে নিজের রুমের সামনে অসুস্থ অবস্থায় দেখে তার মা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জান্নাতুল বিষপান করেছে বলে জানান। এরপর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত ৩টা ১৫মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মা-বাবা বিয়ে দিতে চাওয়ায় ঐ কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
