নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করে সারাদে’শে ভাইরা’ল হওয়া খুবজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মরদেহের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ম’রদে’হর ময়নাতদ’ন্তকারী চিকিৎসক (আরএম্ও) সামিউল ইসলাম শান্ত জানান, শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের ময়নাতদ’ন্তে ম’রদে’হের শরীরে আঘা’তের কোনো চি’হ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধ হওয়ার কারণেই তার মৃ’ত্যু হয়েছে। তারপরও ভিসেরা রিপোর্ট আসলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ময়নাতদ’ন্ত করা হয়।
রবিবার সকালে পুলিশ মামুনকে আটকের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে মামুন জানান, খায়রুন নাহারের বিভিন্ন ব্যাংক ও এনিজওতে ১৬ লাখ টাকার বেশি ঋ’ণ রয়েছে। এর মধ্যে তার ছেলে ৬ লাখ টাকা দামের একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য চা’প দিচ্ছিল। এ সব বিষয়ে খায়রুন নাহার মান’সিকভাবে খুবই চা’পে ছিলেন।
তাই তিনি আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন। নিহত সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারের ভাতিজা নাহিদ হাসান বলেন, নতুন এ বিয়ের পর থেকেই মামুন তার ফুফুর কাছ থেকে মোটরসাইকেলসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন। নতুন করে আবার আর ওয়ান-৫ মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য ফুফুকে চা’প দিচ্ছিল। তিনি বলেন, মামুন নে’শা করত। মামুনের চা’পেই তার ফুফু আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন। তবে এটি হ’ত্যা’ না আ’ত্মহ’ত্যা’ সেটি সঠিক তদ’ন্তে বেরিয়ে আসবে।