শরীরের সৌন্দর্য নিয়ে খোঁটা দিতেন স্বামী। সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে কুড়াল দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর (৩০) বিরুদ্ধে। ভারতের ছত্তীসগঢ়ের দুর্গ অঞ্চলের অমলেশ্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নারীর নাম সঙ্গীতা সোনওয়ানি।
পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের পর থেকেই সঙ্গীতার চাপা গায়ের রং নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তি করতেন স্বামী অনন্ত সোনওয়ানি। গত রোববার রাতে একই ভাবে স্ত্রীর গায়ের রং নিয়ে কটু কথা বলছিলেন অনন্ত (৪০)। তার পরই দু’জনের মধ্যে প্রবল ঝামেলা শুরু হয়।
রাগের মাথায় ঘরে রাখা একটি কুড়ুল নিয়ে স্বামীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন অভিযুক্ত নারী। কুড়ুল দিয়ে অনন্তের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেন স্ত্রী সঙ্গীতা। প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশের এসডিও দেবাংশ রাঠৌর জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অনন্তের। সোমবার সকালে সঙ্গীতা পাড়া-পড়শিকে ডেকে বলেন, অজ্ঞাতপরিচয় কোনো ব্যক্তি তার স্বামীকে খুন করেছেন। কিন্তু পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ করতেই স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। খুনের অভিযোগে ৩০২ ধারায় গ্রেফতার করা হয় তাকে।
নিজের গোপন অঙ্গ বাঁচাতে স্বামীর গোপন অঙ্গ কেটে দিলেন স্ত্রী
স্বামী-স্ত্রী দুজনই একে অপরের বিরুদ্ধে আনেন পরকীয়ার অভিযোগ। এই নিয়ে প্রতিদিনই বাঁধে ঝগড়া। কিন্তু এই ঝগড়াই ডেবে আনলো বড় বিপদ। স্ত্রীর কাঁচির আঘাতে কেটে পড়ে গেছে স্বামীর গোপন অঙ্গ। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের টঙ্গীতে।
স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত সাথী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি জাভেদ মাসুদ। এর আগে রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সাথী (৩৪) রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ি গ্রামের ইনসান আলীর মেয়ে। আর ভুক্তভোগী মনির হোসেন (৩৭) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বুদাগাজী বাড়ি গ্রামের শাহ আলম মিয়ার ছেলে। তবে তারা টঙ্গীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই মনিরের সঙ্গে সাথীর ঝগড়া লেগে থাকতো। ২৬ জুন রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে কাপড় সেলাই কাজে ব্যবহৃত কেঁচি দিয়ে মনিরের পুরুষাঙ্গে আঘাত করেন সাথী। এতে পুরুষাঙ্গ কেটে নিচে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মনিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযুক্ত সাথী বলেন, পরকীয়া সন্দেহে আমাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ নিয়ে ঘটনার দিন ঝগড়ার একপর্যায়ে আমার গোপনাঙ্গ কাটার চেষ্টা চালান মনির। এতে রেগে গিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলি। স্থানীয়রা জানায়, স্বামী-স্ত্রী দুজন দুজনার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করছিল। তবে পরকীয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছিলেন স্বামী মনির। এ নিয়ে প্রায়ই কলহে জড়াতো এ দম্পতি। স্ত্রী সন্দেহ করতেন স্বামীকে আর স্বামী সন্দেহ করতেন স্ত্রীকে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাভেদ মাসুদ বলেন, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত সাথীকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলা করা হয়েছে। পরে মামলায় সাথীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।