উন্মুক্ত পিঠ, স্বল্প কাপড়ের দ্বারা তৈরি ব্লাউজ, জলের মধ্যে ভেজা কাপড়ে দাঁড়িয়ে ছবি জন্য পোজ, চোখের মধ্যে ফুটে উঠছে আবেদন। এই সকল বৈশিষ্ট্যের ছবি নিয়মিত পোস্ট করা হয়ে থাকে অগ্নিমিত্রা সাহা নামক ফেসবুজ পেজে। আর সেই ছবির কমেন্টে ধেয়ে আসে নানাবিধ অশ্লীল মন্তব্য। কামুক সেই সকল ব্যক্তিদের পালটা আক্রমণও করেন ওই পেজের মালকিন।
সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। এখন নিজের প্রোফাইলের পাশাপাশি তাঁর নামে একটি ফেসবুক পেজও চালু হয়েছে। সেই পেজের নাম অগ্নিমিত্রা সাহা। একই সঙ্গে অনেক অনুগামী তৈরি হয়েছে অগ্নিমিত্রা। তৈরি করা হয়েছে অগ্নিমিত্রা সাহা ফ্যান ক্লাব নামের একাধিক ফেসবুক গ্রুপ। সেখানে অগ্নিমিত্রা নানাবিধ ছবি পোস্ট করা হয় নিয়মিত।
বং ক্রাশ নামক একটি পেজ থেকে সেই ছবি পোস্ট করা হয়। তারপরে খোলামেলা পোশাকে অনেকেই ছবি পোস্ট করতে শুরু করেন। তার ছবি এবং ভিডিও বেশ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়! বাঙালি কন্যা অগ্নিমিত্রা সাহার বাড়ি কলকাতার শ্যামবাজারে! যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে এম এ করে বর্তমানে মডেলিংকে তিনি নিজের পেশা হিসেবে বেঁচে নিয়েছেন!
নিত্য দিনই তার নতুন নতুন ছবিতে ভরে থাকে তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি! ছবি দেওয়ার সাথে সাথেই লাইক আর কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়! তবে অনেক নেতিবাচক কমেন্টও আসে যেগুলো ওনাকে সহ্য করতে হয়! কিছু ক্ষেত্রে সরব হয়েছেন বং ক্রাশ অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেছেন, “কিছু নোংরা মানুষে আমার পেজটা ভরে গিয়েছে। আমার ছবি দেখে নাকি তাদের মনে কামভাব জেগে ওঠে!” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “ধিক্কার জানাই এরকম নোংরা মন মানসিকতার।”
এখানেই শেষ হয়ে যায়নি সমালোচকদের প্রতি অগ্নিমিত্রার আক্রমণ। পোশাক নিয়ে কটু মন্তব্যের জবাব দিতে পশ্চিমের দেশগুলির তুলনা টেনেছেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেছেন, “ইউরোপ আমেরিকাতে তো পোশাক এবং পার্সোনাল পোজ কিংবা স্টাইল নিয়ে কারো সমস্যা হচ্ছে না! তাহলে আপনাদের এত চুলকাচ্ছে কেন? ভারত বাংলাদেশে যা কিছু ঘটছে সবকিছুর জন্যই নাকি পোশাক দায়ী? এসব অযৌক্তিক মতবাদ কোথায় থেকে পান আপনারা?”
নিজের খোলামেলা পোশাক বা যৌন আবেদনময়ী ভঙ্গিমায় পোজ দেওয়া নিয়েও মুখ খুলেছেন অগ্নিমিত্রা। কমেন্ট কর্তা যতই প্রশংসা করুক না কেন? তার এই কমেন্টের মধ্য দিয়ে অশ্লীল মানসিকতারই ইঙ্গিত পাওয়া যায়!” তাঁর মতে, “কে কিভাবে চলবে! কিভাবে নিজেকে এক্সপোজ করবে সেটা তার পার্সোনাল ম্যাটার। সেটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।” সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “কারও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার অধিকার কিন্তু আপনার নেই। কারণ এটা অন্যায়।
অন্যকে নিয়ে সমালোচনা না করে, নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করুন। তবেই এই সমাজের পরিবর্তন সম্ভব। পরিবর্তন হবে পুরো ভারতের।”
বঙ্গতনয়া অগ্নিমিত্রার ছবিতে মন্তব্য করা ব্যক্তিদের মধ্যে অনেক বাংলাদেশের নাগরিক রয়েছে। তবে পড়শি দেশের নাগরিকদের থেকে অগ্নিমিত্রার উদ্বেগ নিজের দেশ ভারতের বাসিন্দাদের নিয়েই। আফসোসের সুরে তিনি বলেছেন, “আগে আমি বাংলাদেশিদেরকে ব্যাকডেটেড ভাবতাম। এখন দেখি সবচেয়ে বেশি ব্যাকডেটেড জনসংখ্যা আমাদের দেশেই।”
২৬ বছরের অগ্নিমিত্রা মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয় জগতের সাথেও যুক্ত! বেশ কিছু এড শুট এর পাশাপাশি কয়েকটি জনপ্রিয় বাংলা ওয়েবসিরিসেও অভিনয় করেছেন তিনি! সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামে তিনি রোজই নতুন নতুন ছবি পোস্ট করেন! তার খোলামেলা পোশাক চয়নের মতোই যেকোনো প্রশ্নের উত্তরও তিনি দেন খোলামেলা ভঙ্গিতেই!
সম্প্রতি একটি ইন্টারভিউয়ে অগ্নিমিত্রার ভার্জিনিটি নিয়ে প্রশ্ন করে বসেন এক সাংবাদিক ! জিজ্ঞাসা করেন আপনি কি ভার্জিন? উত্তরে অগ্নিমিত্রা সহাস্যে বলেন “হ্যা আমি ভার্জিন এবং কামের জ্বালায় ছটফট করছি! শীঘ্রই আমার একটা বাঙালি পুরুষাঙ্গ চাই যাকে নিয়ে সারাজীবন থাকবো!” প্রশ্নের উত্তর শুনে সাংবাদিক কিছুটা শক পেয়েছিলেন!
যাই হোক, তার এই উসৃঙ্খল মনোভাবের জন্যও অনেকে তাকে ফলো করেন! তিনি সোজা প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর দিতেই পছন্দ করেন! ইনস্টাগ্রামে এই মুহূর্তে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ১ লক্ষের কাছাকাছি!