Home / সারাদেশ / ‘আমি বেইমান নই’ লিখে ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যা

‘আমি বেইমান নই’ লিখে ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যা

সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিক তংচংগ্যা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রোয়াংছড়ি সদরের বটতলা পাড়ায় নিজ বাসায় ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি।

অনিক রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অনিল মাস্টারের ছেলে ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, অফিস থেকে এসে রুমের দরজা বন্ধ দেখে ছেলেকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকেন অনিকের মা। কোনো সাড়া না পেয়ে পরে দরজা ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। পরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচানো অবস্থায় অনিককে দেখতে পান। এ সময় তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তার মৃতদেহ নামিয়ে পুলিশকে খবর দেন।

পুলিশ লাশের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করে। তাতে লিখা ছিল ‘সুস্থ মস্তিষ্কে এটা করিনি ভুতে ধরেছিল। মা লাল আঙুর আর হরলিক্স দিয়েছিল। খাওয়ার পর সুস্থ বোধ করছি। কিন্তু পরিস্থিতি এতই ভয়ের যে আর কিছুই চিন্তা করতে পারিনি। আমি বেইমান নই, আমি বেইমান নই।’

এদিকে রোয়াংছড়ি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক উমং নু মার্মা জানান, পারিবারিক ও রাজনৈতিকভাবে অনিকের কোনো সমস্যা ছিল না। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের সঙ্গে রাজনীতি করে আসছে। গত বছর অনিক আর আমি ছাত্রলীগের দায়িত্ব পাই। রাজনৈতিকভাবে তার কোনো সমস্যা ছিল না। অন্য কোন সমস্যা ছিল কিনা সে বিষয়ে আমাদের কখনো কিছু বলেননি।

রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মং খিং মার্মা বলেন, অনিক খুবই প্রাণচঞ্চল একটা ছেলে ছিল। পার্টির যে কোনো কাজে সে খুব একটিভ ছিল। তাকে কখনো মনমরা দেখিনি। কী কারণে ছেলেটা আত্মহত্যা করেছে কিছুই বুঝতে পারছি না। রাজনৈতিকভাবে কোনো সমস্যা ছিল না। পারিবারিকভাবেও কোন সমস্যা ছিল বলে মনে হয় না।

এ বিষয়ে রোয়াংছড়ি থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানান, প্রাথমিক সুরতহাল শেষে বুঝা যাচ্ছে সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তার মৃতদেহের পাশে একটি চিরকুট পেয়েছি। সে কয়েকদিন ধরে বাসায় দরজা বন্ধ করে শুয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছে সেটি এখনো জানা যায়নি। তবে তদন্ত শেষে বুঝা যাবে। তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

Check Also

একসঙ্গে ৬ সন্তানের জন্ম দিলেন তাসলিমা

চট্টগ্রামের নাজিরহাটে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক মা। সন্তানদের মধ্যে চারজন ছেলে ও দুইজন …