রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্ত্রীর করা পর্নোগ্রাফি মামলায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে, ঐ রাতেই মামলা হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুল বারিক ঐ উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের পানানগর গ্রামের বাসিন্দা। তার অভিযোগ, বিয়ের পর তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি নিজেই ধারণ করেন তার স্ত্রী। এরপর তার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। সেই টাকা না দেওয়ায় তার নামে পর্নোগ্রাফি মামলা করেছেন স্ত্রী।
আব্দুল বারিক জানান, তার স্ত্রীর বাড়ি নওগাঁ জেলার আত্রাই থানায়। মোবাইলে তাদের প্রেম হয়। গত ২৬ আগস্ট তারা রাজধানীর একটি কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী নিজেই তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। এরপর বিয়ের এক সপ্তাহ না যেতেই তার রূপ পাল্টাতে থাকে। এক পর্যায়ে বারিকের মোবাইল ব্যবহার করে তার কয়েকজন বন্ধুর মোবাইলে ঐ ভিডিও পাঠিয়ে দেন। এরপর এর জন্য উল্টো স্বামীকেই দায়ী করেন এবং এ জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। আর টাকা না দিলে পর্নোগ্রাফি মামলা করার ভয় দেখান। বারিক তার স্ত্রীর দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। পরে স্ত্রী বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি মামলা করেন।
তিনি দাবি করেন, এ কাজে তার স্ত্রীর আরো সহযোগী আছে। তারা যে একটি প্রতারক চক্রের সদস্য তা তিনি আগে টের পাননি। না বুঝেই ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পরে সব বুঝতে পারেন। এর আগেও তার স্ত্রী প্রবাসীসহ ৩-৪টি বিয়ে করেছেন। তাদের সঙ্গেও একই কায়দায় প্রতারণা করেছেন।
বারিকের স্ত্রী বলেন, ঢাকায় বিয়ের পর আমরা পুঠিয়ায় চলে আসি। সম্প্রতি বারিকের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আমি আবার ঢাকায় চলে যাই। সেখানে একজনের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা চলছিল। আর বারিক ওই ছেলের মোবাইলে আমাদের আপত্তিকর ভিডিও পাঠিয়ে দেয়। সে কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
পুঠিয়া থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় ওই নারীর মামলায় তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।